রাজশাহীর তানোর উপজেলার পলাশী গ্রামের চাষি আইয়ুব আলী। অর্ধেক জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। চার বিঘার মধ্যে দুই বিঘা জমি ফেলে রেখেছেন। এ অঞ্চলের পুরো চাষাবাদ সেচনির্ভর। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নতুন নীতিমালায় এবার সেচ বন্ধ। তাই চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।
একই অবস্থা গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রামের গড়ডাইংয়ের সুধীর সরেনের। প্রতি বছর আড়াই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতেন। এবার সেচ বন্ধ থাকায় পুরো জমি পড়ে আছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বিতর্কিত সেচ নীতিমালার কারণে ধান চাষ করতে না পেরে দিশাহারা চাষিরা। সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় পড়েছে বংশ পরম্পরায় ধান চাষ করে আসা আদিবাসী কৃষকরা। তারা জানান, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পানি না দেওয়ায় মাঠের অর্ধেক ধানের জমি পতিত হয়ে পড়ে আছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বরেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা তীব্র আর্থিক সংকটে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জমিতে সেচের পানির বিকল্প সমাধান না করে এবার উল্টো কৃষকদের ধান চাষ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে এবারের বোরো মৌসুমে বরেন্দ্র এলাকার অর্ধেক জমিতে সেচ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে পানির অভাবে ধান চাষ করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ধান চাষ না হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকায় কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন আদিবাসী কৃষকরা।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো ও বিকল্প ফসলে কৃষকদের উৎসাহিত করতে তাদের নতুন সেচ নীতিমালা করা হয়েছে। অনেকে না জানলেও ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারছে।