বরিশাল বিভাগে এ বছর চাহিদার চেয়ে অর্ধলক্ষাধিক বেশি পশু রয়েছে। বাস্তবে আরও বেশি রয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বরিশাল বিভাগের পশুর চাহিদা বেশি রয়েছে। উদ্বৃত্ত পশু অন্যান্য জেলায় বিক্রির জন্য নেওয়া হবে। বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ছয় জেলায় তিন লাখ ৯১ হাজার ১৫৭টি পশুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পশু রয়েছে চার লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৮টি। এর মধ্যে গরুর চাহিদা তিন লাখ ২৫ হাজার ৯২৮টি। মহিষ রয়েছে ৯ হাজার ৪৩০টি, ছাগল রয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ১৯৩টি, ভেড়া ১২ হাজার ২৮২টি ও অন্যান্য ২৫টি। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে পশুর চাহিদা রয়েছে পটুয়াখালীতে এক লাখ ২৮ হাজার ১৮৮টি। বিপরীতে রয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩৭১টি। চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ৫ হাজার ১৮৩টি পশু। এরপরে বরিশালের চাহিদা এক লাখ ১০ হাজার ৭৭টি। এ জেলায় রয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৩০ হাজার ৫৯৭টি। ভোলা জেলায় চাহিদা ৯০ হাজার ২৫৩টি। রয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৭৭৯টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ১২ হাজার ৫২৬টি। বরগুনা জেলার চাহিদা ৩৫ হাজার ৯৯৯টি। রয়েছে ৪২ হাজার ৪৯০টি। বাড়তি থাকবে ৬ হাজার ৪৯১টি। পিরোজপুরের চাহিদা চেয়ে ৪ হাজার ৯৮৫টি পশু বেশি রয়েছে। এ জেলার চাহিদা ১৮ হাজার ৯৪৫টির বিপরীতে রয়েছে ২৩ হাজার ৯৩০টি। সবচেয়ে কম চাহিদা রয়েছে ঝালকাঠি জেলায়। এ জেলার ১২ হাজার ৬৯৫টি চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ১৩ হাজার ৬১৪টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৯১৯টি।
এদিকে এ বছর বিভাগে ২৯৬টি পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ভোলায় ৯৩টি হাট, বরিশালে ৭০টি, পটুয়াখালীতে ৪৫টি, বরগুনায় ৪০টি, ঝালকাঠিতে ২৮টি ও পিরোজপুরে ২০টি হাট।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত বছর কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যার চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ভাগ বাড়তি হিসাব করে এবার চাহিদা তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে বরিশালে তার চেয়ে আরও বেশি পশু রয়েছে। কারণ অনেক গৃহস্থের পালিত পশু এ হিসাবের মধ্যে নেই। তাই ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।