প্রশাসন ক্যাডারের ‘বৈষম্যমূলক আচরণের’ প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গতকাল দ্বিতীয় দিনের কলমবিরতি পালন শেষে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারির বার্তা দেন তারা। আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডারের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডার বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে সারা দেশের বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সফলভাবে কলমবিরতি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আন্তক্যাডার বৈষম্যনিরসন পরিষদের আহ্বানে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে কর্মসূচিটি পালন করায় পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
পরিষদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উত্থাপিত প্রতিবেদনে দুর্নীতিমুক্ত জনসেবা নিশ্চিত করার মতো কোনো সুপারিশ দেখা যায়নি। বরং একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠী-স্বার্থে পক্ষপাতদুষ্ট সুপারিশ বিদ্যমান। জেলা পরিষদ ভেঙে দিয়ে ডিসিকে জেলার প্রধান এবং তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ পদ আপগ্রেডেশনের সুপারিশ করা হয়েছে। পরিষদ মনে করে- কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে একটি ভৌগোলিক এলাকায় কোনো সরকারি চাকরিজীবী প্রধান হতে পারেন না। তাই জেলা পরিষদকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে জনগণের প্রতিনিধিকে জেলার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দাবি করে পরিষদ। সরকারের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষপাতদুষ্ট নির্যাতনমূলক আচরণের প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে পরিষদ। আলোচনার টেবিলে সমাধানের কমিটমেন্ট পেলেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সমস্যার সমাধান না হলে খুব শিগগিরই আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।