ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক। এদের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আর রফিকুল ইসলাম বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। গতকাল জেলা বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘আনোয়ারুল ইসলাম একজন হেডমাস্টারকে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এজন্য শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হলো। আর রফিকুল ইসলাম দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাকেও বহিষ্কার করা হলো।’
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছুদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না- এমন অভিযোগ পেয়ে জেলা বিএনপি আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছিল। আনোয়ারুল জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি।
এদিকে, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল তার লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। অন্যজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।
এক সেনা সদস্যের বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এজন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে পরিবারটির অভিযোগ। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো রফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।