বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী। ১৯৬০ সালে প্রায় ১৩১ একর জমির ওপর এই শিল্পনগরী করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছর পরেও কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বিভাগীয় এই শিল্পনগরী। এখানে মোট ৪৭৭টি রয়েছে। এর মধ্যে উন্নত প্লট ৩৫২টি ও অনুন্নত ১১৮টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু গ্যাস না থাকায় কোনো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য এখানে এসেছিলেন। কিন্তু গ্যাস সুবিধা না থাকায় সবাই বিমুখ হয়েছেন। যার কারণে এখনো শতাধিক প্লট খালি পড়ে রয়েছে। প্লটভুক্ত জমির পরিমাণ ৯৭.৯৭ একর। বরাদ্দ হওয়া প্লটে ১৭৭টি শিল্প ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য তৈরির ইউনিট ৫৪টি, বস্ত্র ও বস্ত্রজাত পণ্যের ইউনিট ১৯টি, প্রকৌশলের ২২টি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ছয়টি, কেমিকেল ৩৫টি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ছয়টি, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ১২টি, বন ও বনজ ১০টি এবং বিবিধ ১৩টি ইউনিট উৎপাদনে রয়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৯৭.৪২৬ কোটি টাকা।
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। যে কোনো শিল্প ইউনিট চালু করার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি প্লটের সামনে রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। রয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও। কিন্তু গ্যাস না থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে না। এ বিষয়ে বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. গোলাম রসুল বলেন, বিসিক শিল্পনগরীতে বর্তমানে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে বিসিক যদি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সব সেবা দিতে পারে তাহলে এ ক্ষেত্রে শিল্পনগরীর উদ্যোক্তাদের সুবিধার নিশ্চয়তা থাকত। যদিও বিসিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে কিন্তু সেখানে পুরো সেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি বিসিক শিল্পনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাও দরকার।
তিনি বলেন, তবে বিসিক বর্তমানে উদ্যোক্তাদের নানামুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর অবকাঠামোগত সব সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখানে উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে; যা নতুন উদ্যোক্তাদের শিল্পনগরীমুখী হতে আকৃষ্ট করছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে খালি প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া। এর মধ্যে কয়েকজন যোগাযোগও করেছেন। বিসিক শিল্পনগরীতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে অনেক বেকারত্ব কমবে।