খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা নমুনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ। চারপাশে ধুলোর স্তর জমেছে। যন্ত্রাংশে ত্রুটির কারণে এটি চালু করা যায়নি। একইভাবে হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা কিটের তীব্র সংকট রয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১০০টি কিট সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনেই নমুনা পরীক্ষায় ৮-১০টি কিট ব্যবহৃত হয়। বাকি কিট শেষ হয়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কিট সংকটের কারণে হাসপাতালে আসা সবার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইলোরা পারভীন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, সর্দি ও শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন। কিন্তু হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা কিটের অভাবে সরাসরি নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। আগে চিকিসকের পরামর্শ ও তাদের চিকিৎসাপত্রে নির্দেশনার পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. খান আহমেদ ইসতিয়াক বলেন, এখানে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে কিটের স্বল্পতা আছে; তাই যার বেশি দরকার আগে তাদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। অনেকে চাইছে নমুনা পরীক্ষা করতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। যে রোগী আসলে সিমটমিক অথবা যার করোনা পরীক্ষার জন্য অপারেশন আটকে আছে কিংবা বিদেশে গমনের জন্য করোনা রিপোর্ট প্রয়োজন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পরে যখন কিট পর্যাপ্ত থাকবে তখন পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো যাবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব বন্ধের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. গোলাম মাসুদ জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্যালিব্রেশন (যন্ত্রকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেট করা) দরকার হয়। এ ছাড়া কিটের সংকট রয়েছে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. আকতারুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে থাকা কিটগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরে অন্য জায়গা থেকে ১০০টি কিট ম্যানেজ করা হয়েছে। যেহেতু অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে সেহেতু পরবর্তী অর্থবছরে দরপত্র দিয়ে কিট সংগ্রহ করা কঠিন। তবে শর্ট কোটেশনে কিছু কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।