ঈদুল আজহার ছুটি শেষে খুলেছে অফিস-আদালত। প্রথম দিন গতকাল কর্মব্যস্ততা তেমন না থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন। ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় সচিবালয়ে বিরাজ করেছে ঈদের আমেজ।
গতকাল রাজধানীর সড়কেও তেমন একটা গাড়ির চাপ দেখা যায়নি। নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে হাজির কর্মচারীরা। সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রশাসনিক কাজে স্বাভাবিক ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। কাজের ফাঁকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা গেছে অনেককে। সচিবালয়ে দেখা যায় অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও গল্প করছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কয়েকজন সচিব। এ ছাড়াও প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে অধীনস্থদের কুশল বিনিমিয় করতে দেখা যায়। সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলোও অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। তবে করিডর ও লিফটগুলোর সামনে ভিড় একটু কম ছিল। এদিন সকাল থেকে অফিস করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। উপদেষ্টারা সচিবালয়ে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট খুলেছে। ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের মধ্যে ছিল ঈদের আমেজ। তবে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকায় ঢিলেঢালা লেনদেন চলছে। আগের মতো চিরচেনা দীর্ঘ লাইন নেই গ্রাহকদের।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ছয় দিন ছুটি দিয়েছিল সরকার। পরে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশের ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রথমবারের মতো টানা ১০ দিনের ছুটি দিতে গত ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখেছিল সরকার।