রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে চার কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। রবিবার পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে একজন পুনর্বাসন কেন্দ্রে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য দিয়েছে। জীবন বাঁচাতে তারা পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, নগরীর দেওডোবা ডাংগীরপাড় এলাকার ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে ৬৮ জন নিবাসী রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া, প্রতিবন্ধী, এতিম ও মামলাসংক্রান্ত কারণে আদালত থেকে পাঠানো শিশু-কিশোরীরা এখানে থাকেন। গত ১২ জুন রাতে এ কেন্দ্র থেকে নিতু, স্মৃতি, কৃতী ও আশা নামের চার কিশোরী নিখোঁজ হয়। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দুই দিন পর ১৫ জুন স্মৃতি ও কৃতীকে উদ্ধার করে। ওই দিন পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে পুনরায় সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে (বালিকা) পাঠায়। কিন্তু আদালতের বারান্দায় থাকা স্মৃতির মা নগরীর রবার্টসনগঞ্জের বাসিন্দা মুক্তি বেগম মেয়েকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতে পুলিশের কাছে আপত্তি জানায়। আপত্তির কারণ হিসেবে পুনর্বাসন কেন্দ্রে মেয়ের ওপর নির্যাতন ও তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত বলে জানান। স্মৃতির মা মুক্তি বেগম মেয়েকে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখতে পুলিশের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ ছাড়া এটি সম্ভব নয় বলে পুলিশ জানায়।