আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। এর আগে ১৬ জানুয়ারি সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
গণ অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদকে আর দেশে দেখা যায়নি। এর মধ্যে রোজার ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন বলে ছবি প্রকাশ্যে আসে।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। পরে বিচারক সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন হাছান মাহমুদ। তাঁর নিজ, যৌথ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহমূলক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এ অর্থ পাচারের অভিযোগে ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, তাঁর স্বামী হাছান মাহমুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নূরান ফাতেমা ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তাঁর নিজ, যৌথ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। ৬ এপ্রিল দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর বিদেশগমন ঠেকানো দরকার।