রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মোল্লা এবং একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান মোল্লার সমর্থক জিল্লুর রহমানকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেন। এরই জেরে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের আলমগীর শেখ (৪২), রহমান সরদার (৫৫), এসকেন সরদার (৫৫), মহাসিন সরদার (৫৭), মাহিম (১৯), লিমন সরদার (২৫), শরিফুল মোল্যা (৪৫), রোস্তম সরদার (৫৫), কেসমত মোল্যা (২৭), শফিক মোল্যা (৩৫), রেহাব মোড়ল (২২), সাদ্দাম সিকদার (৩২), নূর ইসলাম (৪০) ও সৌরভ সিকদার (১৫) নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত লিমন সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘যুবদলের একটি মিছিলে যাওয়ায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ মোল্যার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।’
তবে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মোল্লা গ্রুপের সমর্থক ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাফর শেখ বলেন, গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।