যৌথ বাহিনীর হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জন অভিযুক্তের নামে দায়ের করা মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২৩ জুলাই স্থানীয় যুবদল নেতা আসিফ শিকদারের (৩০) মা স্বপ্না বেগম অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। এখন আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামিরা হলেন-রাজধানীর শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মতিউর রহমান, ডিএমপির দারুস সালাম জোনের এসি এমদাদুল হক, এডিসি জাকারিয়া, ডিএমপির মিরপুর ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সায়েন্সল্যাব সেনাক্যাম্পের মেজর মুদাব্বির, ক্যাপ্টেন তাম্মাম ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সিরাজ, আবুল কালাম আজাদ লেলিন, ফর্মা খলিল ও সিএনজি ফরিদ। বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে যে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ জুলাই রাত ২টার দিকে পুলিশের পোশাকে ২৫-৩০ জনের একটি যৌথ বাহিনী শাহআলী থানার ওসির পরিচয়ে বাদীর বাসায় হানা দেয়। তারা ঘর তছনছ করে এবং তার ছেলে আসিফ শিকদারকে চড়-থাপ্পড় মেরে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে ফজরের সময় পরিবারের কাছে খবর আসে, আসিফের কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন কাপড় পাঠাতে হবে। এরপর বাদী ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে লোকমুখে তারা জানতে পারেন, আসিফ যৌথ বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন।
নিহতের পরিবার বলছে, পুলিশি নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। জানা যায, আসিফ শিকদার শাহআলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং একই ওয়ার্ডের যুবদলের সেক্রেটারি পদপ্রার্থী ছিলেন।