চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ভর্তি রোগী ও ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। দেওয়া হচ্ছে চর্মবিষয়ক ১০টি রোগের ব্যতিক্রমী পরামর্শ বার্তা। এতে আছে রোগ নিয়ে বিশেষ বর্ণনা ও প্রয়োজনীয় করণীয়। এসব পরামর্শবার্তা রোগসংশ্লিষ্ট রোগীদের সরবরাহ করা হবে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শসহ কাগজ। গতকাল উদ্যোগটি চালু করা হয়। পরামর্শ বার্তা তৈরিতে সহায়তা করেছে অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস।
যে ১০টি চর্মরোগ নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো স্ক্যাবিস, ডার্মাটোফাইটোসিস (দাদ), শ্বেতী, সোরিয়াসিস, এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা সিসপ্লেক্স (বংশগত ত্বকের রোগ, সামান্য ঘর্ষণ-চাপে ফোসকা ও ক্ষত তৈরি হয়। এটি শিশুদের মা-বাবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা), অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (একজিমা, ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ), লুপাস ইরাইথেমাটোসাস, কুষ্ঠরোগ, ইকথিওসিস ভালগারিস (বংশগত ত্বকের রোগ), পেমফিগাস ভালগারিস রোগ (শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তারতম্যের কারণে সুস্থ ত্বকের কোষে ফোসকা তৈরি হওয়া)।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল মাওলা বলেন, ‘জনবলসংকটসহ নানান কারণে রোগী ভর্তি ও ছাড়পত্র দেওয়াকালীন রোগ সম্পর্কে অনেক সময় অনেক জরুরি বার্তা জানানোর সুযোগ হয় না। জানালেও তাদের মনে থাকে না। তাই চর্মবিষয়ক ১০টি রোগ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ বার্তা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ জানা যায়, চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে শয্যা আছে ২০টি। প্রতিদিন বহির্বিভাগে টিকিট কেটে চিকিৎসা গ্রহণ করে প্রায় ৫০০ জন। চমেক হাসপাতালে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মানুষ চিকিৎসা নেয়। এখানে চর্মরোগের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ (ফাঙ্গাল ইনফেকশন), ঘা-পাঁচড়া, ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ (জীবাণুজনিত), ব্রণ, একজিমা, ভাইরাস, প্যাপিউলো স্কোয়ামাস, কানেকটিভ টিস্যু (যোজক কলা), ব্যুলাস, শ্বেতী, আর্সেনিক, কুষ্ঠসহ ১৪ ধরনের চর্মরোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।