চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হারলা গ্রামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বরুমতি খাল খননের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্রাম নেওয়া সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক পুনর্নির্মাণ ও নবনির্মিত বৈঠকখানার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন এটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ইখতিয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মন্জুর আলম তালুকদার, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুর রহমান খান প্রমুখ।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষি উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সারা দেশে যে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, তার অংশ হিসেবেই তিনি চন্দনাইশের হারলা গ্রামের এই বরুমতি খালের উদ্বোধন করেন। কৃষিকে জনপর্যায়ে জনপ্রিয় করে তোলার পাশাপাশি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখার এই কর্মসূচি ছিল এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘কালের বিবর্তনে শহীদ জিয়ার স্থাপিত স্মৃতিফলকটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ পুনর্নির্মিত এই স্মৃতিফলক ও বৈঠকখানা আমাদের ইতিহাসকে নতুন করে ধারণ করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া যেই স্থানে বসে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন, ঠিক সেই স্থানে আজ আমরা আবারও তাঁর অবদান স্মরণ করছি।’ সিটি মেয়র বলেন, খাল খনন ও সংস্কার কর্মসূচি শুধু গ্রামীণ উন্নয়নেই নয়, নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খাল ও নদীদখল, দূষণ, বিশেষ করে পলিথিন ও প্লাস্টিকের স্তর বৃদ্ধি মারাত্মক পরিবেশগত হুমকি তৈরি করছে। কর্ণফুলি, হালদা ও সাঙ্গু নদের দূষণ রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে খাল খনন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশের মডেল তৈরি করা। এই খাল খনন কর্মসূচিটি চলমান থাকলে বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রতি বছর যে বন্যা দেখা যাচ্ছে তা এতটা প্রকট হতো না।