কুমিল্লার ১০৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা ইতালি, দুবাই, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। অভিযোগ উঠেছে এদের কেউ কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করছেন।
সূত্র মতে, হোমনায় গত এক সপ্তাহে বিদেশফেরত ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের কেউ কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নিজেদের সুস্থ দাবি করে বাইরে চলাফেরা করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে একজন ইতালি, দুইজন দুবাই, একজন কুয়েত, একজন সৌদি আরব এবং একজন ওমান ফেরত রয়েছেন।
উপজেলার মাথাভাঙা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের দুবাইফেরত ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা হলে জানা যায়, তিনি ডাক্তারের পরামর্শ অমান্য করে চারদিনের মাথায় জরুরি কাজে কুমিল্লা যাচ্ছেন।
ইটালি ফেরত ব্যক্তি জানান, তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তিনি ৬ মার্চ ইতালি যান। সেখানে গিয়েই করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কথা শুনে চারদিনের মাথায় বাড়ি ফিরে আসেন। আসার পথে ইটালি, দুবাই এবং বাংলাদেশ বিমান বন্দরেও স্ক্যানিয়েংর মাধ্যমে তার সুস্থতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পেয়ে ১১ মার্চ বাড়ি ফেরেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, হোমনায় অনেক প্রবাসী রয়েছেন। এদের সম্পর্কে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। কারা কারা বিদেশ থেকে আসছেন- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ডাক্তার, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের তথ্য দানে সহাযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, তারা সকলেই এখনও ভালো আছেন। তাদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশ এবং বিদেশে চেক আপ করেই বাড়ি এসেছেন। তারপরও আমরা তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। বলেছি, অন্তত চৌদ্দ দিন যেন কেউই বাড়ির বাইরে না যায়।
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতিমালা মেনে চলার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেউ নীতিমালা অমান্য করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার