কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অল্প কয়েকদিন আগেও ভর্তি রোগী ছাড়াও আউটডোরে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। কিন্তু এখন আর সেই চিত্র নেই। কুড়িগ্রামে আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা আতঙ্কে এখন রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আউটডোরে রোগীর সংখ্যাও অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এ জেলায় এখনও করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা আতংক বিরাজ করছে। বিশেষ করে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতেন তাদের মধ্যে এ আতংক সবসময় লেগেই আছে। ফলে হাসপাতাল বিমুখ হচ্ছেন অনেকেই।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রেজদওয়ান ফেরদৌস জানান, করোনা আতঙ্কে বিগত সময়ের চেয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু রোগীর আনুপাতিক হার কম হলেও চিকিৎসা সেবায় কোন ত্রুটি হচ্ছে না।
যদিও এ জেলায় ইতোমধ্যে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ঢাকা ফেরত প্রায় ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হলেও রিপোর্ট পাওয়া যায় ২৫ জনের যা করোনা নেগেটিভ। তবুও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী অনেক কমে গেছে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম করোনায় রোগী কম হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, করোনা আতঙ্ক কাজ করে ঠিকই, কিন্তু মানুষের আচরণের পরিবর্তনের পাশাপাশি সচেতনতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মোকাবেলায় আইসোলেশনসহ ওয়ার্ডে ১০ থেকে ৩৪টি বেডে উন্নীত করা হয়েছে। চিকিৎসক,নার্সসহ স্টাফদের রীতিমত প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল