চট্টগ্রাম ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরো তিন জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পাহাড়তলী এলাকার, একজন সাতকানিয়ার এবং একজন লক্ষীপুর জেলার। আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ওই বাসিন্দা গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এটি চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি। তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা নিশ্চিত হয়।
শনিবার বিআইটিআইডি ল্যাবে নতুন ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে দশজন আক্রান্ত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের পজেটিভ পাওয়া যায়। একজন পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকার ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দা, একজন সাতকানিয়া উপজেলার আলী নগরের ইছামতি এলাকার ৬৯ বছর বয়সী বাসিন্দা এবং একজন লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দানপাড়া কোদাল বাড়ির ৩২ বছর বয়সী বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে নতুন করে আরো তিনজন করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও একজন লক্ষীপুর জেলার। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং বাড়ি লকডাউনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সাতকানিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ‘নতুন যে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তাদের একজন মারা গেছেন। তিনি সাতকানিয়ার বাসিন্দা।’
করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাচিপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ইছামতি এলাকার বাসিন্দা গত বৃহষ্পতিবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই ব্যক্তি মারা গেলেও তার সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ৩ ও ৫এপ্রিল একজন করে দুইজন, ৮ এপ্রিল তিনজন এবং গত ১০ এপ্রিল দুইজন আক্রান্ত হয়। নতুন তিনজনসহ বর্তমানে চট্টগ্রামে মোট ১০ জন আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল