গোটা বিশ্বে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবল পড়েছে বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে। এসব দেশে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও।
অভিযোগ উঠেছে, মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ভারত সীমান্তবর্তী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালুচিস্তানে নির্বাসনে পাঠাচ্ছে ইমরান খান সরকার। অথচ, ওই এলাকায় করোনা চিকিৎসার ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। গিলগিট-বালুচিস্তানের কর্মকর্তাদের ঢাল-তলোয়ার ছাড়াই লড়তে হচ্ছে এই মহামারীর বিরুদ্ধে। গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকারই এক সমাজকর্মী সেঙ্গে এইচ শেরিং পাকিস্তান সরকারের এই পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন।
তার কথায়, গত কয়েকদিনে গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। তার কারণ পাকিস্তান সরকার ইরান ফেরত তীর্থযাত্রীদের মূল ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে এই এলাকায় নির্বাসনে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ দেখা দিলেই তাকে তড়িঘড়ি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হচ্ছে। গিলগিট-বালুচিস্তানের (Gilgit-Baltistan) বিভিন্ন জায়গায় তাদের রাখা হচ্ছে। সেনাকর্তারা নিজেদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের আইসোলেশনের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে ভারত সীমান্তে।
সেঙ্গে এইচ শেরিং বলছেন, “গিলগিট-বালুচিস্তানে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্বেও পাকিস্তান সরকার ইরান-ফেরত তীর্থযাত্রীদের পরিকল্পনা করে এই এলাকায় পাঠাচ্ছে। তাও কোনওরকম পরীক্ষা না করেই। এতে গিলগিট-বালুচিস্তানের কর্মকর্তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।”
সম্প্রতি অসামা রিয়াজ নামের বালুচিস্তানের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে কাজ করছিলেন। তার মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ এই সমাজকর্মী পাকিস্তান সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। পাকিস্তান ইরান সীমান্ত সিল করেছে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। কিন্তু তাতেও নাগরিকদের ইরান যাওয়া আটকাতে পারছে না। যারা লুকিয়ে ইরান থেকে ফিরছে, তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। পাকিস্তান সরকার দেশজুড়ে লকডাউন জারি না করায় ক্ষুব্ধ শেরিং। তার মতে এর ফলে ব্যাপকভাবে আক্রান্তও হবে পাকিস্তান। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/কালাম