চাপে পড়ে ভোলবদল ট্রাম্প প্রশাসনের। বিতর্কের জেরে সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে ডা. অ্যান্টনি ফাউচিকে পদ থেকে সরানো হচ্ছে না। নিজের পদেই বহাল থাকছেন তিনি।
আমেরিকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও তার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ঢাক পিটিয়ে চলেছেন। যিনিই তার মতের বিপক্ষে, তিনিই শত্রু। সে যেই হোক, এমনকি দেশের করোনা যুদ্ধের সেনাপতি হলেও। সে কারণে আমেরিকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডা. অ্যান্টনি ফাউচিকে সরানোর দাবি রিটুইট করতে দু’বার ভাবেন না।
তবে মহামারীর আবহে ফাউচির বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রবল চাপের মুখে পড়তে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। আমেরিকার করোনা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফাউচি। ১৯৮৪ থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর প্রধান। এর আগে এডস, জিকা ও ইবোলা মহামারী ঠেকাতে কাজ করেছেন তিনি।
রবিবার সকালে একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি স্বীকার করে নেন, আরও আগে কড়া পদক্ষেপ নিলে বিপুলসংখ্যক মৃত্যু ঠেকানো যেত। কিন্তু তাদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হয় বলে তিনি আক্ষেপ করেন। বর্তমানে আমেরিকায় প্রায় ৬ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত প্রায় ২৪ হাজার, যা ইতালিকে ছাপিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ।
বারবারই দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের ব্যর্থতার জেরেই এই পরিণতি। তিনি সময়ে সচেতন হলে এই মৃত্যুমিছিল ঠেকানো যেত।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই অভিযোগ খারিজ করলেও পরোক্ষে তাতেই সিলমোহর দেন ফাউচি। ফলে বিলক্ষণ চটেছেন ট্রাম্প। এর পরেই রবিবার রাতে তিনি ডিয়ানা লরাইনের একটি টুইট রিটুইট করেন।
মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়েছিলেন এই ডিয়ানা। #ফায়ারফাউচি নামে এই টুইট পোস্ট করে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘দুঃখিত, ভুয়া খবর। সব নাটকবাজি।’
তার দাবি, ভাইরাস ছড়ানো রুখতে জরুরি ছিল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি। মানুষ বলার আগেই তিনি চীন থেকে আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করেছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি এই ফাউচি তেমন কোনও ভয়ের সম্ভাবনা নেই বলে জানান। বাস্তবে ২১ ফেব্রুয়ারি ফাউচি ও অন্য বিশেষজ্ঞরা আর্থিক ক্ষতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও প্রশাসনের কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি বলবৎ করার পক্ষে মত দেন। এভাবেই ডিয়ানার টুইট রি-পোস্ট করে নিজের ৭ কোটি ৬৮ লাখ ফলোয়ারের কাছে ফাউচিকে ‘খলনায়ক’ বানাতে চাইছেন ট্রাম্প। গত কয়েক সপ্তাহে তিনি একাধিক কর্তাকে অপসারণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম