ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কথা থাকলেও নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল থেকে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার উদাসিনতাকেই দায়ী করছে সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৯টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ১০টির রিপোর্ট নেগেটিভ। বাকী ৯টির রিপোর্ট এখনো এসে পৌঁছেনি। সোমবার করোনাভাইরাস লক্ষণে ১৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ দিনে কমপক্ষে ১০০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল। ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, কাশিতে বেশ ক’জন মানুষ মারা গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করেননি। সোমবারে ১৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ডা. মামুনুর রহমান বলেন, গত ৩ দিনে ১৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ১০টি রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। সবই নেগেটিভ রিপোর্ট। ৯টি নমুনার রিপোর্ট এখনো আমরা পাইনি। এর মধ্যে গত সোমবার একদিনে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে। কসবা উপজেলায় নমুনা সংগ্রহে স্বাস্থ্য বিভাগের এ ব্যর্থতা কোনোক্রমেই মেনে নেয়া যায় না।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম