আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কুমিল্লায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন হতে পারে ৬৪টি নমুনা পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষার যন্ত্র রিয়েল টাইম পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (আর টি পি সি আর ) মেশিন বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আজাদ এটি গ্রহণ করেন। শনিবার থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই মেশিনটির সংযোজন ও স্থাপন কাজ শুরু হবে। কাজ শেষে এটি পরিচালনার জন্য টেকনিক্যাল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে এখানেই দিনে দিনে পরীক্ষা করা হবে। তবে ফলাফল এখানে দেওয়া হবে না। প্রতিদিনের ফলাফল ঢাকা পাঠানো হবে। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল জানানো হবে।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেশিনের কর্ম ক্ষমতা দেখে বুঝা যাবে দিনে কতটি পরীক্ষা হবে। এটি এখনো ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। তবে সাধারণ মেশিন ১৬টি নমুনা একবারে নিতে পারবে। প্রতিবারের রেজাল্ট আসতে চার ঘণ্টা সময় লাগে। দিনে চার শিফটে কাজ করা যাবে। আশা করি এই মেশিনে এ অঞ্চলের কাজগুলো ঠিক মতো করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার কাজটি শুরু হলে কুমিল্লা জেলার ৬৫ লাখ লোকসহ বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার প্রায় দেড় কোটি লোক উপকৃত হবেন। বিশেষ করে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এবং ফেনী কুমিল্লার কাছাকাছি হওয়াতে এই মেডিকেল কলেজে যাতায়াত সহজ হবে।
কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার আইসিইউ ওয়ার্ডের জন্য ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেশিন শিগগিরই স্থাপন হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম