ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে সঠিক সময়ে লকডাউন জারি করার জন্য করোনা এখনও আয়ত্বের মধ্যে রয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবি এই লকডাউন মানুষের জন্য বয়ে এনেছে অভিশাপ। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে দেশজুড়ে দেয়া হয়েছে লকডাউন। যার ফল দেশে এখন প্রায় ১৪ কোটি মানুষের চাকরি চলে গেছে। শনিবার করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই সরব হয়ে উঠল বিরোধী দল কংগ্রেস।
শনিবার শাসক দলকে একহাত নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘কোনও রকম পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দেশের। ১৪ কোটির বেশি মানুষ চাকরি হারা হয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরও লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকারের কাছে কি কোন পরিকল্পনা রয়েছে এই সমস্ত মানুষকে সাহায্য করার?’ শুধু তাই নয় কেন্দ্রকে আক্রমণ করে এদিন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘২০০৫ সালের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেশে কোন বড়সড় বিপর্যয় এলে সরকারকে জনস্বার্থে প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সেই প্রকল্প চালু করার কথা। অথচ ২৪ মার্চ থেকে এপ্রিলের ৪ সপ্তাহ পার হয়ে গেল সরকার এখনো জনগণের জন্য কোনও প্রকল্প তৈরি করেনি।’
এদিন সংবাদ সম্মেলনে মোদী সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি, সরকারকে পরামর্শ দিয়ে সিব্বল বলেন, ‘করোনা মুক্ত হওয়ার পর এক নতুন ভারত গড়ার দিকে এগোতে হবে আমাদের। মোদী সরকারকে অনুরোধ করব সিএএ, এনআরসি-র মত অতীত ভুলে নতুনভাবে এবার পথ চলা উচিত আমাদের। যেখানে শাসক দল ও বিপক্ষ প্রত্যেককে একত্রিত হয়ে নতুন ভারত গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সূত্র : মহানগর ২৪x৭ বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক