বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটির বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার প্রতিষেধক খুঁজতে বিশ্বজুড়ে চলছে জোর প্রচেষ্টা। এরই মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার এক প্রাণীর অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে পারবে বলে দাবি করছেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
দক্ষিণ আমেরিকার লামাস নামের এই প্রাণীর শরীর থেকে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা ভাইরাসটিকে সহজেই মেরে ফেলতে পারবে।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিন ও বেলজিয়ামের একদল গবেষক তুলে ধরেছে এ তথ্য।
অ্যান্টিবডিগুলো ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হবে, যা করোনায় বেঁচে যাওয়া মানুষদের থেকে প্লাজমা স্থানান্তর করার মতো কাজ করবে।
অ্যান্টিবডিগুলো ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে প্রতিরোধ করতে পারে, যা মানব কোষগুলোতে সংযুক্ত থাকে এবং করোনাভাইরাসকে দেহের অভ্যন্তরে প্রতিলিপি তৈরি করতে দেয়।
সার্স সিওভি-১ এবং মার্স সিওভি গবেষণার উপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষকরা আগের সার্স সংক্রমণের জন্য কাজ করে এমন লামা অ্যান্টিবডিগুলোর দুটি কপি ব্যবহার করেছিলেন, ফলে ফলিত যৌগটি স্পাইক প্রোটিনকে প্রতিরোধ করতে এবং সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে।
ইউটি-অস্টিনের আণবিক বায়োসেসিয়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক জেসন ম্যাকেলেলেন এক বিবৃতিতে জানান, এই প্রকল্পে কাজ করার সময়, নতুন সার্স সিওভি-২ আর্বিভূত হয়েছে এবং আগের সার্সের স্পাইক প্রোটিনের সাথে যার বেশ মিল আছে।
তত্ত্বটি অনেকটা অস্বাভাবিক মনে হতে পারে যে প্রাণী থেকেই যে করোনার উৎপত্তি হল প্রাণীই সে রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে তাদের দেওয়া যেতে পারে ,এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়বে।
এই লামা অ্যান্টিবডি তত্ত্ব নিয়ে শুধু আমেরিকান এবং বেলজিয়ামের গবেষকরাই কাজ করেননি, জাপানের বিজ্ঞানীরাও এই অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণা করেছেন। সূত্র: ফার্স্টপোস্ট, হেল্থ
বিডি প্রতিদিন/কালাম