ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, করোনার সময়ে তিনটি ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। ব্যবস্থাপনা, সামাজিক দর্শন ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
রবিবার করোনা মোকাবেলা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, পাশ্চাত্য ও পাশ্চাত্যপন্থীরা এসব ব্যর্থতা ঢেকে রাখতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার নানা দিক বিশ্লেষণ করে তা তুলে ধরা দরকার, কারণ এসব তথ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়ার ওপর বিভিন্ন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে তিনি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বলেন, করোনাভাইরাস তুলনামূলক দেরিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গেছে। তারা এই ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা প্রত্যাশিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের বিশাল সংখ্যা এবং এসব দেশে বেকারত্বসহ মানুষের নানা সমস্যা তাদের এই ব্যর্থতারই প্রমাণ বহন করছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেন, পাশ্চাত্যের সামাজিক দর্শনও ব্যর্থ হয়েছে। পাশ্চাত্যের সামাজিক দর্শন বৈষয়িক উপাদান ও অর্থ-সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে পাশ্চাত্যের দেশগুলো বৃদ্ধ, বেশি অসুস্থ, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের বাঁচানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। অর্থ উপার্জন ও বৈষয়িক স্বার্থে এসব মানুষের অংশীদারিত্ব নেই বলে পাশ্চাত্য তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এসব দেশের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছে যা তাদের সামাজিক দর্শনের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করেছে।
সর্বোচ্চ নেতা নৈতিকতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে অন্যের কথা না ভেবে দোকানগুলো খালি করে ফেলার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, পাশ্চাত্য ব্যাপক স্লোগান দিলেও এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এসব বাস্তবতা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
এ সময় তিনি করোনার সময় নানা ক্ষেত্রে ইরানিদের সদাচরণ ও ধৈর্যের প্রশংসা করেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দেশের জনগণ প্রকৃত ইসলামি ও ইরানি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/কালাম