বাংলাদেশের করোনার প্রকোপ কমে আসছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ দিনের করোনার পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটর ট্র্যাকার বলছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসতে শুরু করেছে।
সোমবার পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে সংক্রমণের ১৮তম সপ্তাহে এসে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার দুটিই নিম্নগামী হয়েছে। এছাড়া সংক্রমণের শীর্ষে থাকা বিশ্বের ২০টি দেশের প্রবণতা তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি রাশিয়া, চিলি, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান ও মিসরে করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, পেরু, ইরান, কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, পাকিস্তান, বলিভিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইকুয়েডর এবং আর্জেন্টিনায় সংক্রমণের প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী।
জনস হপকিন্সের তথ্যচিত্র অনুযায়ী: বাংলাদেশে কোভিড-১৯’র প্রথম সংক্রমণ ১২০ দিন আগে মার্চের ৮ তারিখে ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ হাজার ৫১ জন মারা গেছেন।
তাদের তথ্যচিত্র ট্র্যাক করে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে স্থানীয় সংক্রমণের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম সপ্তাহজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু সমান্তরালভাবে চূড়ায় ওঠে। ১৮তম সপ্তাহে এসে এ দুটির রেখাচিত্র নিম্নমুখী হতে শুরু করে।
ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এটি বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যুক্তরাষ্ট্র; এরপরেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের অবস্থান।
করোনার হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডও মিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৮ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৭ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত