১৭ আগস্ট, ২০২০ ১৭:৪১

করোনাভাইরাসের জিনতত্ত্ব বিশ্লেষণ করলো এনএসইউ

অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের জিনতত্ত্ব বিশ্লেষণ করলো এনএসইউ

গত বছরের শেষদিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে সংক্রমিত হয়ে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে নভেল করোনাভাইরাস। ১৮০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস, যাতে ২ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ।

বিশ্বজুড়ে গবেষক ও বিজ্ঞানীরা এ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভাইরাসটি সম্পর্কে জানতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্যও কাজ করছেন, যা ভাইরাসের বিস্তার ও রোগের তীব্রতা কমাবে।

কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাসটি মূলত একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস। ধারণা করা হয়ে থাকে, বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিন থেকে এ ভাইরাসটির উৎপত্তি। শুরুর দিকে এর বিস্তার এসব প্রাণী থেকে হলেও অতিদ্রুতই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে।

অতিমাত্রায় পরিবর্তনশীল এ ভাইরাসটির জিনোম বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো মিউটেশন চিহ্নিত করতে পেরেছেন। জিনোম বা ভাইরাসের জিনগত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাইরাসের উৎপত্তি এবং এর রোগ সংক্রমণ ও বিস্তার সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। এছাড়াও ভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশনের ফলে এর প্রোটিনে পরিবর্তন আসতে পারে বিধায় ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতেও এ বিশ্লেষণের ভূমিকা অপরিসীম।

সম্প্রতি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউট (নর্থ সাউথ জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউট) সফলতার সঙ্গে করোনাভাইরাসের জিনগত বিশ্লেষণ সম্পন্ন করেছে। এ গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সাইন্সের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা এবং নর্থ সাউথ জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক এবং বায়োকেমেস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাকসুদ হোসেইন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিই সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের জিনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ সম্পন্ন করেছে। 

এ প্রসঙ্গে ড. হাসান মাহমুদ রেজার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউট এ অর্জনে গর্বিত এবং মহামারি চলাকালে এ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরে তারা আনন্দিত। তারা আশাবাদী, এর ফলাফল ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এবং এ গবেষণার ফল বিশ্ববিদ্যালয়টির সামগ্রিক গবেষণার মান অনেকাংশে উন্নত করবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর