কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম কানাডিয়ানদের সতর্ক করে বলেছেন, কানাডায় যে অনুপাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিনের গণনার তুলনায় তা দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদিকে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগিরই একটি লকডাউন আসতে পারে।
প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা ট্যাম শুক্রবার অটোয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের মহামারি মডেলিংয়ের সর্বশেষ অনুমানের রূপরেখা তুলে ধরেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, কানাডার কয়েকটি হাসপাতালে ইতোমধ্যে করোনা রোগী ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে।
অন্টারিও ও সাসকাচোয়ান শুক্রবার নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ম্যানিটোবা ও টরন্টো ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় যাত্রা ব্যতীত অধিবাসীদের বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে। তিনি কানাডিয়ানদের সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গ্রেটার টরন্টো এরিয়া ও হ্যামিল্টন এখন এই প্রদেশটিকে ‘রেড জোন’ বলছে। প্রদেশটির বসবাসকারী বাসিন্দাদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ জমায়েত, বার এবং রেস্তোরাঁগুলোতে সীমাবদ্ধ ইনডোর ডাইনিং, পাশাপাশি ফিটনেস ক্লাসগুলোও প্রাদেশিক বিধি অনুসারে অনুমতি পাবে।
অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিমিয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথাও তিনি বলেছেন।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশে ক্রমবর্ধমান হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে। ইতোমধ্যে কানাডার আলবার্টায় নাটকীয়ভাবে করোনাভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা প্রদেশে একদল চিকিৎসক আলবার্টা সরকারকে অবিলম্বে দু’সপ্তাহের জন্য জরুরিভিত্তিতে লকডাউনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৮ জন, মূত্যবরণ করেছেন ১০ হাজার ৮২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৬ জন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ