কুমিল্লায় সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার সিভিল সার্জন।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা জানান।
সদ্য যোগ দেওয়া সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে মাত্র ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৯ জন নাগরিক করোনার টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। আর করোনার টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৫ জন।
অথচ প্রথম দফায় কুমিল্লার জন্য মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ করোনার টিকা এসেছে। সেগুলো এখনো নাগরিকদের মাঝে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র নাগরিকদের টিকাগ্রহণে অনীহার কারণে।
ডা. মীর মোবারক হোসাইন আরও বলেন, ৩০ মার্চ করোনার টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও সরকার থেকে এখনো আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। যার কারণে আমাদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ এখনও চলছে।
প্রতিটি এলাকায় টিকা নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হলেও গত ১৫ দিন ধরে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলের টিকা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
এ সময় জেলার করোনা পরিস্থিতি এবং দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সিভিল সার্জন জানান, কুমিল্লায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি বাড়ছে কুমিল্লা নগরীতে। তাই আমরা নগরীকে বেশি ফোকাস দিচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় সরকারের জারি করা নির্দেশনা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজকে মতবিনিময় সভায় জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর