কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার রাত ৭ টা পর্য়ন্ত) করোনায় ১ জনের মৃত্যু ও ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৯৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন, ভৈরবে ২ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ জন, সন্দেহজনক করোনায় মারা গেছেন ৩ জন এবং এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ ও ৪ মে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। গত ৩ মে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া গত ৩ মে কিশোরগঞ্জ-২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জনের, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৪ জনের এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জনসহ মোট ৪০ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ২০১ জন সুস্থ হয়েছেন। এদিকে করোনা শনাক্তকৃত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ ব্যক্তি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৭৮ জন।
বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩১৮ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২৬ জন, হোসেনপুরে ২২ জন, করিমগঞ্জে ১০ জন, তাড়াইলে ৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ২০ জন, কটিয়াদীতে ২৬ জন, কুলিয়ারচরে ১৭ জন, ভৈরবে ৩৯ জন, নিকলীতে ৭ জন, বাজিতপুরে ২৫ জন, ইটনায় ১০ জন, মিঠামইনে ১ জন ও অষ্টগ্রামে ৭ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২৯২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৮১০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৮ হাজার ৮১০ জন। উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার