কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত) ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৮২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৪ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন ও ভৈরবে ৩ জন। 

গত ১২ ও ১৩ জুন (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ১৩ জুন বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ জন, সন্দেহজনক করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন। 

সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৭৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮৫ জন। 

বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬৮ জন, হোসেনপুরে ৩ জন, করিমগঞ্জে ৩ জন, তাড়াইলে ৯ জন, পাকুন্দিয়ায় ১০ জন, কটিয়াদীতে ১৪ জন, কুলিয়ারচরে ১২ জন, ভৈরবে ৮ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও ইটনায় ১ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২০৫ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৯৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৮ হাজার ৫৯২ জন। উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন