গোপালগঞ্জ জেলায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষজন যেন লকডাউন মানতেই চাইছেন না। এক শ্রেণির কাপড় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ঈদেও জামা-কাপড় কেনায় ব্যস্ত। তারা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ভোর ৫টার দিকে দোকান খুলে সকাল ৭টার মধ্যে বন্ধ করে দেয়।
আর এক শ্রেণি ব্যবসায়ী সারাদিন দোকানের আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকে। কাস্টমার আসলে দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে বেচাকেনা করে এবং বাইরে একজন পাহারায় থাকে, যিনি প্রশাসনের গাড়ির শব্দ শুনলেই দোকানে তালা মেরে সটকে পড়েন।
এছাড়া উঠতি বয়সের ছেলেরা স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সন্ধ্যার পর শহরের বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে। প্রশাসন শহরে যেমন কঠোর অবস্থানে আছে, সেই তুলনায় গ্রামের অবস্থা অনেকটা ঢিলেঢালা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৪৯ ভাগ।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল ও গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলা শহরে অধিক সংখ্যক ইজি বাইক, মাহেন্দ্র ও রিকশা ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে অধিক যাত্রী পরিবহন করার পাশাপাশি ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছেন চালকরা।
লকডাউন কার্যকর করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। শহরের ঢোকার মুখে ও শহরের পাড়া-মহল্লার রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। দোকান বন্ধ রাখতে ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করতে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এসব আদালত পরিচালনা করছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৪৯ শতাংশ। এছাড়া জেলায় মোট ২৫ হাজার ৫১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৬৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮ জন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই