শিরোনাম
- নির্বাচনি ট্রেন থামানোর ষড়যন্ত্র চলছে: অমিত
- রাজবাড়ীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- আদাবরে পুলিশের ওপর হামলা, অভিযানে গ্রেফতার ১০২
- ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে: খোকন
- ১৪ বছর পর ফের তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া
- রাজধানীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের
- সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের মাঝে বিআরটিএ’র চেক বিতরণ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু
- সেবা পেতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে যা বললো ডিএনসিসি
- জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচারের গতি সন্তোষজনক : আইন উপদেষ্টা
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করলেন দুই উপদেষ্টা
- গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের
- চীনে বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন পুতিন
- রাজধানীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা
- রাজধানীর আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
- সিআইডি হেফাজতেও উচ্ছৃঙ্খল তৌহিদ আফ্রিদি, তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য
- আজ ২৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ সেপ্টেম্বর)
- সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি
রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিট বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
.jpg)
করোনামুক্ত হয়েছে রাজশাহী। চলতি মাসে রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোন রোগি পাওয়া যায়নি। ফলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চালু করা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ড ‘করোনা ইউনিট’। শুক্রবার এই ওয়ার্ডটি বন্ধ ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ওই মৃত্যু হয়েছিলো। একই সালের ২৮ জুনও মৃত্যু ছিলো ২৫ জন। মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আর চারজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তারা করোনা নেগেটিভ ছিলেন।
রাজশাহীতে মেডিকেলে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ ছিলো। হাসাপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। হাসপাতালে মোট করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিলো ৪৫৪ টিরও বেশি। তবে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিলো। করোনা ইউনিটের প্রতিটি ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দা কাণায় কাণায় পূর্ণ ছিলো। প্রতিদিনই ছিলো করোনায় মৃত রোগীর স্বজনদের আহাজারি।
এ বছরের শুরু থেকেই করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ নিম্নমুখি হতে থাকে। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো মাত্রা ৩ থেকে ৬ জন। সংক্রমণের পরিমাণ মাসের প্রথম থেকেই শূন্য। শুক্রবার সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটি’ই ‘শূন্য’।
২০২০ সালের মার্চের দিকে এই হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষায়িত ‘করোনা ইউনিট’ তৈরি করা হয়েছিলো। দীর্ঘ দু’বছরে সবার তিক্ত অভিজ্ঞতার অবসানে করোনামুক্ত হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনাকালের সেই মৃত্যুর দৃশ্য এখন আর নেই। সে সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর কষ্ট এবং স্বজন হারানোর আহাজারি ছিলো নিত্যদিনের বিষয়। মাত্র ২০ শয্যার আইসিইউ আর শতাধিক রোগীর অপেক্ষার প্রহর। মহামারি পরিস্থিতির সেই টালমাটাল জনজীবন এখন স্বাভাবিক।
তিনি জানান, শুক্রবার মেডিকেলের করোনা ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরআগে মাত্র দু’তিন জন করোনার লক্ষণ নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১২ মে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আপাতত এখন রোগি নেই। তবে যদি দু’জন রোগি করোনার লক্ষণ নিয়ে আসে তাদের রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল (আইডিএইচ) এ পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
এই বিভাগের আরও খবর