মাদকে ভাসছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা। হাত বাড়ালেই এখানে যত্রতত্র মিলছে মাদক। দিনে দিনে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন এলাকার উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মরণনেশায় জড়িয়ে পড়েছেন কিছু শিক্ষকও। মাদকের ছড়াছড়ির কারণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে অভিভাবক-সচেতন মহলে। শ্রীবরদী থানার ওসি এস আলম জানান, এখানে উঠান বৈঠক, স্কুল-কলেজে ক্লাসসহ নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পুলিশ নেশার ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছে। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল ওয়ারিশ জানান— মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের ধরলে ভয়ে, শত্রুতা বাড়বে ইত্যাদি কারণে কেউ সাক্ষ্য দেন না। তবে শ্রীবরদীতে মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরও সক্রিয় থাকবে। জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে মাদক কেনাবেচার স্পট। এসব মাদকদ্রব্য আসে পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ থেকে। এ ক্ষেত্রে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করে মেঠোপথ, খেতের আইল ও বাসাবাড়ি। পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে দু-একজনকে আটক করলেও আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে তারা আবার শুরু করে পুরনো ব্যবসা। প্রতিদিন বিকালে শেরপুর সদরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিত্তবানদের ছেলেরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার নিয়ে আসেন মাদক স্পটে। তাদের বেশি পছন্দ ‘ইয়াবা’। নেশাগ্রস্তদের কাছে এর সাংকেতিক নাম ‘বাবা’। পুলিশি অভিযানের ফলে শ্রীবরদী শহরে মাদক বিক্রি কিছুটা কমলেও গ্রামাঞ্চলে এর ব্যবহার বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। অপরাধীরা ঘন ঘন পাল্টাচ্ছে নেশার স্থান। সূত্র জানায়, শুধু পুরুষ নয় এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন নারীরাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাঝেমধ্যে মাদকসেবীদের আটক করে হাজতে পাঠালেও হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। নেশার খুচরা কারবারিদের পুলিশ ধরলে জেল থেকে তাদের বের করার জন্য তত্পরতা চালায় একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট সদস্যরা মাদকের পাইকার বলে জানা গেছে। এদের অবস্থান বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ বা যমুনার ওপারে। সেখান থেকে কলকাঠি নাড়ে তারা। পুলিশ জানায়, সিন্ডিকেটের কেউ ধরা পড়লে শুরু হয় নানা তদবির। পরবর্তীতে সাক্ষীর অভাবে শাস্তি হয় না। মাদক বিক্রির দায়ে এ পর্যন্ত পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছে পৌর শহরের জাহাঙ্গীর, মাহবুব, জেসমিন, লিটন, ইমরান, রাজন, আহালু, মাহালু, ইব্রাহীম, কামাল, সিয়াম, হারুন অর রশিদ, খামারিয়া পাড়ার আনু ও তার স্ত্রী, বিল্লাল, শাহীন, দেলোয়ার, মেহেদী হাসান, কমলসহ অনেকে। এদের মধ্যে কারও কারও নামে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ বলেছে, এদের অনেককে ৫/৬ বার মাদকসহ ধরা হয়েছে।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ