রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তথ্যদাতাই হলেন আসামি

সোনারগাঁ প্রতিনিধি

যার দেওয়া তথ্যে সাড়ে চার হাজার পিস ইয়াবা আটক হলো তাকেই পুলিশ মামলার আসামি বানিয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, থানার দারোগার এক লাখ টাকা দাবি পূরণ না হওয়ায় তথ্যদাতা ইকরা হাসান চৌধুরীকেও মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে সোনারগাঁর (নারায়ণগঞ্জ) কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা ও লেবেলের ছাত্রী ইকরা হাসান তার বন্ধুর জনৈক রাসেলের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকায় ফেরার সময় রাসেল তার প্রাইভেট কারে সাড়ে চার সহস্রাধিক ইয়াবা ঢুকিয়ে ঢাকার পথে রওনা হন। বিষয়টি টের পেয়ে একই প্রাইভেট কারের আরোহী ইকরা হাসান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মাকে বিষয়টি জানান এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে বলেন। ইকরার মা রাজধানীর দুজন সাংবাদিকসহ কাঁচপুরস্থ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যান এবং ইয়াবা ভর্তি প্রাইভেট কারটি আটকের ব্যাপারে পুলিশের সহায়তা চান। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত তিনটার দিকে হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহরাব হোসেন কাঁচপুর অতিক্রমকালে প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১৭-৯৭০৭) আটক করেন এবং গাড়ির আরোহী ইকরার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাড়ির ড্যাশবোর্ড খুলে বিশেষ কায়দায় রাখা চার হাজার ছয়শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধারে সক্ষম হন। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে তিনটি স্মার্টফোন ও নগদ ছয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় গাড়ির আরোহী ইয়াবা ব্যবসায়ী ঢাকা বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা মো. রাসেল ও গাড়ি চালক হেমায়েত উদ্দিনকে আটক করেন। হাইওয়ে পুলিশের এসআই সোহরাব হোসেন জানান, শনিবার সকালে ওই দুই আসামি ও তথ্যদাতা ইকরা চৌধুরীকে সোনারগাঁ থানার এসআই মাহমুদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এসআই মাহমুদ মামলার সাক্ষী হিসেবে ইকরার নাম লিপিবদ্ধ করতে এক লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়েও এক লাখ টাকা দিতে না পারায় তথ্যদাতা ইকরা হাসান চৌধুরীকে মামলার সাক্ষী বানানোর পরিবর্তে দুই নম্বর আসামি বানিয়ে মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়। এ ব্যাপারে ইকরা হাসানের মা নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করায় মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে ন্যস্ত হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর