ফরিদপুরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরসে আগত নারী ও তরুণীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার উরসের প্রথম দিন সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটে। পরের তিনদিনও এই চক্র উরসে সমবেত নারীদের ওপর হামলা করে। হুমকি দেয় জীবননাশের। পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয় কয়েকজনকে। উরসের চারদিনে বিপুল সংখ্যক নারী ও তরুণীকে দরবার থেকে বের করে দেয়। সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকি এবং লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করায় অনেক নারী প্রাণভয়ে দরবার শরীফ ত্যাগ করেন। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় একদল স্বার্থান্বেষী দরবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে এ হামলা চালায় বলে জাকের মঞ্জিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। হামলার শিকার মিসেস আফসার, নাজমা আক্তার, কানিজ ফাতিমা লিপি, শাহিদা হায়দার দীপ্তি ও রীপু প্রমুখ জানান, বিগত অনেক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও তারা উরস শরীফে যান। আধ্যাত্মিক পাদপীঠে তারা এ ধরনের হামলার শিকার হতে পারেন- ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। জানা গেছে, ওই চক্রের ইন্ধনে দরবারের কর্মী আজমীরের নির্দেশে বকর, বাকু মল্লিক, শাহীন, শাহাদত, জাকির ও আক্কাস উরস শরীফে আগত নারীদের ওপর এ হামলা চালায়। তারা হিট লিস্ট তৈরি করে নারী ও তরুণীদের খুঁজে বের করে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ত্রাসের সৃষ্টি করে। বেশ কয়েকজনকে বেদম মারধর করে। প্রাণভয়ে ভীত এ সব তরুণী ও নারীদের আর্তচিৎকার এবং দিগি¦দিক পালানোর দৃশ্য ভয়াল পরিবেশ সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসীচক্র হামলার দায়ভার এ সব নারীর ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্রস্বরূপ দরবারের অভ্যন্তরে নিজেরা ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভরা উরস শরীফে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ইতিহাসে আর ঘটেনি। জকের মঞ্জিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছেÑ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যাপক প্রভাব খাটানোর কারণে স্থানীয় থানায় মামলা করা যায়নি।