গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর রাতে সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো, সাইদুল ইসলাম (৩০), জামান বাশার (২৭), রেজাউল করিম পাভেল (২৮) ও হোটেল ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনসহ আরো দুজন। তারা সবাই চল্লিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি জানান, ধর্ষিতা তার স্বামীকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহের সিস্টোর থেকে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ফুফুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গত শুক্রবার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী ও তার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন সিস্টোর থেকে স্বামীর ফুফুর বাড়ি কলমাকান্দার উদ্দেশে বাসে উঠে এবং ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডে নামেন। সেখান থেকে নেত্রকোনার বাসে উঠলে তাদের বাসটি চল্লিশা বাজারে আসলে ওই তরুণী রাজেন্দ্রপুর বিসিক শিল্প নগরীর সামনে নেমে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের পিছনে টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এ সময় কয়েক আসামি টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তার স্বামীকে বাইরে আটকে রাখে। দাদের একজন ভিকটিমকে টয়লেটের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আসামিরা তরুণীকে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের রুমে নিয়ে যায়। ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের সহযোগিতায় নামধারী ছাত্রলীগ এনামুল হক সম্রাট (২৭), জিহান (২৭), রাসেল (৩০), জামান বাশার (২৭), রেজাউল করিম পাভেল (২৮), সাইদুল ইসলাম (৩০) পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম তরুণীসহ স্বামীকে একটি রুমে আটকে রাখে। রাত একটার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামীকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। রাত আনুমানিক ২টার সময় ভিকটিম ও তার স্বামী থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান শুরু করে।