শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সার ডিলারদের অব্যবস্থাপনায় বিড়ম্বনার শিকার কৃষক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সার ডিলারদের অব্যবস্থাপনায় বিড়ম্বনার শিকার কৃষক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটজনের স্থলে সারের ডিলার রয়েছেন ২৫ জন। তবে এদের ৯ জনেরই নেই গুদামঘর নেই। যাদের আছে, তাদের বেশির ভাগের গুদাম অন্য মালের ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে কৃষকরা প্রয়োজনের সময় সার কিনতে ডিলার ও গুদাম খুঁজে পান না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভৈরব পৌর এলাকায় বিসিআইসির নিয়োগ করা ৮ জন এবং সাত ইউনিয়নে ১৭ জন ডিলার রয়েছেন। পৌর এলাকায় চার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫ জনের নেই গুদামঘর। ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলারদের কারও কারও গুদামঘর পৌর এলাকায় বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ আছে, ভৈরবে এমন কয়েকজন সার ডিলার রয়েছেন-যারা ঠিকাদারী ব্যবসা, এজেন্সি ব্যবসাসহ অন্য মালের ব্যবসা করছেন। তাদের অনেকেরই সার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেক ডিলার আবার মাসিক বরাদ্দের সার কারখানার গেটে বিক্রি করে দেন।  সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী ভৈরবে ৮ জন ডিলার থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে আছে ২৫ জন। মাসিক বরাদ্দের সার আমদানির পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজুদ না দেখেই ডিলারের রেজিস্ট্রার খাতা স্বাক্ষর করে দেন বলে জানা গেছে। এ কারণে স্থানীয় কৃষকরা সময়মত সার পান না। নীতিমালা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলা ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি রয়েছে। উপজেলাগুলোতে ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডিলারদের ব্যবসা মনিটরিং করার কথা। ভৈরব উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলম শরীফ জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একজন করে ডিলার থাকার কথা। চাহিদা বেশি হলে এর বেশিও থাকতে পারে। ভৈরবে সব ডিলারেরই গুদামঘর রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর