শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংস্কার না হওয়ায় বাড়ছে দুর্ভোগ

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সংস্কার না হওয়ায় বাড়ছে দুর্ভোগ

নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকার মানিকমুড়া-নাথেরপেটুয়া-হাসনাবাদ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। এ সড়কের বিনয়ঘর থেকে মানিকমুড়া পর্যন্ত অংশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পুনঃনির্মাণ কাজের টেন্ডার হলেও এ অংশে কাজ শুরু না হওয়ায় ভোগান্তি কমছেনা এলাকাবাসীর।

জানা যায়, নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পশ্চিম, জোড্ডা পূর্ব, আদ্রা দক্ষিণ, দৌলখাঁড় ও বটতলি ইউনিয়ন এবং মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ, বাইশগাঁও, লক্ষণপুর, সরসপুর ও নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মানিকমুড়া-নাথেরপেটুয়া-হাসনাবাদ। এ সড়কে প্রতিদিন মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জের সীমান্ত এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল। মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। মানিকমুড়া-নাথেরপেটুয়া-হাসনাবাদ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে নাথেরপেটুয়া থেকে বিনয়ঘর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের অধীনে পুনঃনির্মাণ করা হবে। বাকি ১৫ কিলোমিটার এলজিইডির অধীনে। এলজিইডির আওতাধীন অংশে প্যাকেজ আকারে সংস্কার কাজ চলছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনয়ঘর থেকে মানিকমুড়া পর্যন্ত সড়কে কাজ শুরু না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দিনদিন বাড়ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ অংশের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বধিকারী কামরুজ্জামান রিপন জানান, মানিকমুড়া-নাথেরপেটুয়া-হাসনাবাদ সড়কে গত ২০ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছি। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, ‘সড়কটি আরও আধুনিকায়ন করা হবে। বিনয়ঘর থেকে মানিকমুড়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত কাজ শুরুর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর