বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

শীত-কুয়াশা আর ইটভাটার ছাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা

প্রতিদিন ডেস্ক

বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কোল্ড ইনজুরি’ আক্রান্ত বীজতলা

প্রচন্ড শীত, ঘনকুয়াশা আর ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীজতলা। ফলে আসন্ন মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বগুড়া, ঠাকরগাঁও ও দিনাজপুরের চাষিরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর- বগুড়া : শেরপুর উপজেলায় গত কয়েকদিন সূর্যের আলো না পাওয়ায় বীজতলা রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বীজতলায় চারা বাড়তে শুরু করেছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে জমিতে চারা রোপণ শুরু হবে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলা নিয়ে কৃষক শঙ্কায় পড়েছেন। শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, শীত ও কুয়াশার কারণে কিছু বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়তি বীজতলায় চারা উৎপাদনের কারণে তেমন সমস্যা হবে না। এ ছাড়া এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। রোদ উঠলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপরও কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও : সকালে ঘনকুয়াশা, দুপুরে রোদ আর ইটভাটা থেকে নির্গত ছাইয়ে ঝলসে যাচ্ছে বোরো ধানের চারা। বীজতলা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। দিন দিন হলুদ রং ধারণ করে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে চারা। টানা দুই সপ্তাহের শৈত্যপ্র্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন জেলার বোরো চাষিরা। জেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ইটভাটা। অভিযোগ আছে, এ ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের নির্দেশনা মানা হয়নি। তার মাশুল দিতে হচ্ছে চাষিদের। একদিকে শৈত্যপ্র্রবাহ অন্যদিকে ভাটার ছাইয়ে বীজতলা যেমন ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি ঝলসে যাচ্ছে চারা।

দিনাজপুর : ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বীজতলায় দেখা দিয়েছে ফ্যাকাশে রং। হলুদ ও লালচে হয়ে গোড়ায় পচন ধরে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বোরো আবাদ নিয়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা শঙ্কিত।

সর্বশেষ খবর