সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ভিটেছাড়া পরিবার, দিতে পারেনি লাশের কবরও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আধ শ্বতক জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল জাফর আলীর। দখল করে ফেলা হয়েছে তা-ও। শুধু তাই নয়, জাফরের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। অভিযোগ আছে, একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করারও। এসব ঘটনায় জাফর আলীর পরিবার প্রায় এক মাস ধরে গ্রামছাড়া। প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফোনে। এই অভিযোগ জাফরের ভাই সুরুজ আলী আর আরেক ভাই হামিদ মিয়ার স্ত্রী মিলির বিরুদ্ধে।

নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা জানান, ৪০ বছর ধরে আধা শ্বতক পরিমাণ পৈতৃক জায়গায় বসবাস করছিলেন তারা। ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় গত বছরের জুনে মেরামত শুরু করলে বাধা দেন মিলি। জাফরের পরিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় গেলে গত ২১ ডিসেম্বর সুরুজ আলী ও মিলি তাদের ঘরটি ভেঙে ফেলে সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়ি এলে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে আহত করে জাফর আলী, তার ছেলে মনির, মোশাররফ, মনিরের স্ত্রী সীমা, হেলেনা ও ফারুককে। অভিযোগ আছে, হামলার পর ২২ ডিসেম্বর মিলি থানায় উল্টো মামলা করেন। অভিযোগ আনা হয় নারী নির্যাতনের।

নারী নির্যাতন মামলার অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ্ব ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশ্বন (পিবিআই) কোনো সত্যতা পায়নি বলে প্রতিবেদন দেয়। এদিকে গত বছরের ৮ জুলাই মারা যান মনিরের মা আছিয়া। সুরুজ আলীর বাধার কারণে তাকে পারিবারিক গোরস্থানেও সমাহিত করতে পারেননি বলে জানান মনির। সুরুজের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন আরেক ভাই সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান।

তিনি জানান, তাদের ৭ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৪৯ শ্বতক জায়গাও সুরুজ আলী দখল করে রেখেছেন। মিলি বেগমের দাবি, জায়গাটির দলিল রয়েছে তার কাছে। সুরুজ আলীকে তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। সরাইল থানার ওসি জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। ওই পরিবারের কোনো সমস্যা থাকলে তো তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। ।

সর্বশেষ খবর