মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পারিবারিক কলহ থেকেই চার হত্যা

পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে চাঁদপুরে স্কুলছাত্র খুন

মৌলভীবাজার ও চাঁদপুর প্রতিনিধি

পারিবারিক কলহ থেকেই চার হত্যা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী-শাশুড়িসহ দুই প্রতিবেশীকে হত্যার পর এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা। রবিবার রাতে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির পাল্লাথল চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তবে হত্যা মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, রবিবার ভোররাতে পারিবারিক কলহ নিয়ে নির্মল কর্মকারের সঙ্গে তার স্ত্রী জলি বুনাজির ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সে জলিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় জলিকে বাঁচাতে তাঁর মা লক্ষ্মী ও পাশের ঘরের বসন্ত ভৌমিক এবং বসন্তের মেয়ে শিউলী এগিয়ে এলে নির্মল তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় বেঁচে যায় ঘাতকের সৎ মেয়ে চন্দনা। চন্দনা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের শ্রমিকরা বাড়ি ঘেরাও করে। এ অবস্থায় নির্মল ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পাল্লাথল চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, হত্যাকারী নির্মল কর্মকার ছাড়া নিহত সবাই চা বাগানের শ্রমিক। চাঁদপুরে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় আটক ৫ : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দোকানের ভিতর থেকে রবিবার স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। তবে দোকানের কর্মচারী  ফারুক হোসেন (২৮) ও শাকিল (১৮) পলাতক রয়েছে। নিহত রিয়াদ (১৬) গাইন বাড়ির ফারুক মিয়ার বড় ছেলে। সে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। কর্মচারী ফারুক কচুয়া উপজেলার মালছোয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত রিয়াদের মা রোজিনা বেগম বলেন, ফারুকের সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে হট্টগোলের কথা জেনেছি। এ ছাড়া রিয়াদের চাচা শাকিল আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমরা রাজি হইনি। এ নিয়ে শাকিলের সঙ্গে আমার ছেলের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। প্রায় দু’মাস আগে শাকিল একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিয়াদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই শাকিলের সঙ্গে আমার ছেলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ নিয়ে থানায় বসে শালিসের মাধ্যমে একটি স্টাম্প হয়েছে। তারা আমার ছেলেকে হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে আমার নতুন বাড়িতে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার ছেলেকেও খুন করল। শাকিল ও ফারুক পলাতক রয়েছে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক ফরিদ হোসেনসহ ৫জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর