নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় সাদা সোনা হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে রসুন। বাম্পার ফলন হওয়ায় রসুন চাষীদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। এ মৌসুমেও ব্যাপক হারে রসুন চাষ করেন তারা। বড়দের পাশাপাশি পরিবারের ছোট সদস্যরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রসুন তোলার কাজে। জানা যায়, সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গুরুদাসপুরে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ থেকে সংগ্রহ করার পর ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিন গ্রেডে ভাগ করা হয় রসুন। এরপর বিক্রির জন্য বাজারে নেওয়া হয় সাদা সোনা খ্যাত এই রবি ফসল। উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রসুন চাষী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুনের বীজ, বীজ বপন, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরী, বিচালী সব মিলে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভালো দাম পেলে বিঘাপ্রতি এক লাখ টাকা আয় হবে। গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, এবার ৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। সম্ভাব্য উৎপাদন ধার্য্য করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৪১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদিত হয়েছিল।