শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

খেতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল হতাশ কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কুড়িগ্রামে কমে গেছে সবজির দাম। আশানুরুপ দাম না পেয়ে হতাশা বাড়ছে সবজিচাষীদের। বিক্রি করে জমি থেকে সবজি ওঠানো ও পরিবহন খরচ না ওঠায় অনেক স্থানে খেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি। জানা যায়, জেলায় প্রতিটি লাউ ৪ টাকা এবং বেগুন ও শসা দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজিতে। যা দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা করে। সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সবজি চাষী ফারুক মিয়া জানান, তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে প্রায় তিন বিঘায় লাউ, বেগুন, শিম, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। বেগুন আর লাউ খেত থেকে তুলে হাটে নিয়ে গেলে বিক্রি করে খরচই ওঠে না। তাই খেতের ফসল খেতে রাখতে হচ্ছে। একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে শসা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত মাত্র দুই হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে শসার মণ ৬০-৭০ টাকা। তিনি জানান, ভাইরাসের কারণে এলাকায় ক্রেতা আসছে না। নেই বাইরের পাইকারও। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের ওয়াহেদ আলী জানান, অনেক খরচ করে চরে করলা আবাদ করছিলাম। এখন খুব খারাপ অবস্থা। হাটে দাম নেই। ২০০-২৫০ টাকা মণ দরে করলা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করলা মাঠ থেকে তোলার খরচই উঠছে না। পৌরবাজার এলাকার পাইকারী সবজি বিক্রেতা মোসলেম উদ্দিন জানান, সব সবজির দাম এখন কম।  বাজারগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য। পাইকারী ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী জানান, খুচরা বিক্রেতারা না আসায় সবজির চাহিদা কমে গেছে। মোকামে চাহিদা না থাকায় কৃষক পর্যায়ে সবজির দাম একেবারে পড়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর