বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৮ মাস তেলশূন্য ভাসমান ডিপো

চিলমারীতে বেকার শত শত শ্রমিক, বিপাকে কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

৮ মাস তেলশূন্য ভাসমান ডিপো

চিলমারীতে তেলশূন্য ভাসমান ডিপো -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রায় আট মাস ধরে তেলশূন্য পড়ে আছে চিলমারীর ভাসমান ডিপো। এ ডিপো থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অপরদিকে কৃষকরাও পড়েছেন বিপাকে। ডিপো সংশ্লিষ্টরা বলছেন একদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকট অপরদিকে বন্যা ও করোনায় তেল আসা বন্ধ রয়েছে। চিলমারী তেল ডিপো সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ উত্তরের কয়েক জেলার জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ১৯৮৯ সালে তিনটি কোম্পানি চিলমারীতে স্থাপন করে ভাসমান ডিপো। কিছুদিন পর পদ্মা অয়েল কো. লি. তাদের বার্জ সরিয়ে নেয়। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি. এবং যমুনা অয়েল কো. লি.-এর ভাসমান ডিপো নিয়মিত তেল সরবরাহ করছে। ট্যাংক লরি বন্ধ থাকায় ডিপো দুটি থেকে তেল সরবরাহ প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। চিলমারীর পুটিমারী ও সরদারপাড়াসহ কয়েক এলাকার কৃষকরা জানান, চড়ামূল্যে এখন তেল কিনতে হচ্ছে। এছাড়া এক লিটার তেল আনতে পাম্পে বা সদরে যেতেও ১৫-২০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। রংপুর বিভাগ ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন-চিলমারী সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক বলেন, ‘তেলের চাহিদাসহ সরকার নির্ধারিত মূল্যে এই অঞ্চলের কৃষক যেন তেল পায় এই জন্য প্রায় ৩০ বছর আগে ভাসমান ডিপো স্থাপন করা হয়। কিন্তু লরি ও তেল সরবরাহ বন্ধ রাখায় শত শত মানুষের রুজি বন্ধ হয়ে গেছে।

যমুনা অয়েল কো. লি. চিলমারী ভাসমান ডিপো সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে তেলশূন্য রয়েছে ডিপোটি। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি. চিলমারী সূত্র জানায়, তাদের তেলবাহী জাহাজ গত মার্চ মাসে এলেও তেল দ্রুত শেষ হয়ে যায়। মূলত নদীর নাব্য সংকটেই তেল নদীপথে আনা সমস্যা। তাছাড়া করোনাকালে সারা দেশের ন্যায় চিলমারীতেও এ সংকট রয়েছে। ডিপো সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডব্লিউএম রায়হান শাহ্ বলেন- ডিপো স্থায়ীকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তেল সরবরাহ বন্ধ আছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর