বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৯ জন মাঝি-মাল্লাসহ কক্সবাজারের একটি মাছধরা ট্রলার গত ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ট্রলার মালিক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার আলহাজ নজির হোসেন কোম্পানির ছেলে মো. মাসুদ রানা জানান, ১৯ মাঝিমাল্লা ও ১০-১২ দিনের রসদ নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর শহরের ফিশারিঘাট থেকে তার ট্রলারটি সাগরে রওনা দেয়। কিন্তু ১৯ দিন পরও ট্রলার ও মাঝিমাল্লাদের কোনো খোঁজ মিলছে না। ওই ট্রলারের মাঝি লক্ষ্মীপুর জেলার আলেকজান্ডার থানার সবুজপাড়ার মনজুর আলম প্রকাশ মনজুর মাঝিসহ ট্রলারের অন্য জেলেদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ট্রলার মালিক ও মাঝিমাল্লাদের পরিবার অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ১৯ মাঝিমাল্লা নিয়ে কক্সবাজারে একটি ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস।
বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সহায়তা নেওয়ার জন্য ট্রলার মালিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বলেন, ১৯ মাঝিমাল্লাসহ এফবি রানা নামের একটি বোট নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে কীভাবে নিখোঁজ হলো তা অনুসন্ধান করা দরকার। কারণ এক মাস ধরে সাগর শান্ত রয়েছে। আবার অনেক সময় জোয়ারের স্রোতে বাংলাদেশ সীমা অতিক্রম করলেও ভিন্ন দেশের বাহিনীর হাতে আটক হতে পারেন জেলেরা। অনেক সময় জলদস্যুদের হামলার শিকার হতে পারেন বা জলদস্যুদের দ্বারা জিম্মি থাকতে পারেন।