রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতেই খুশিতে ভাসছে কৃষক। একই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে কিষান-কিষানিদের। ধান কাটার ধুম পড়েছে উপজেলাগুলোয়। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, উপযুক্ত আবহওয়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক উৎপাদন হয়েছে বোরো ধান। তাই চলতি বছর অর্থ সংকটে পড়বেন না কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় এবার সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে বোরো ধান। শুষ্ক মৌসুমের জলেভাসা জমিতে ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমিতে দেখা মিলছে এমন সবুজ ধানের সমারহ। চোখ জুরানো আর মন ভুলানো ধান দেখে যেমন কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ঠিক তেমনি দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। এক দিকে কালবৈশাখী, অন্যদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। সব মিলে খুশির আকাশ ম্লান করেছে মেঘ। কৃষকরা জানায়, কাপ্তাই হ্রদজুড়ে ভেসে উঠেছে বিশাল বিশাল চর। এ চরে ধান চাষ করেছিলেন কৃষকরা। নিবির পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে ব্যাপক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ জানান, রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা মিলে জলে বাসা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। এতে ৫ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে।