রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বেড়েছে নদ-নদীর পানি উত্তরে বন্যার শঙ্কা

প্রতিদিন ডেস্ক

বেড়েছে নদ-নদীর পানি উত্তরে বন্যার শঙ্কা

প্লাবিত হয়েছে তিস্তার চরের ঘরবাড়ি

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে রংপুর অঞ্চলে তিস্তা, যমুনেশ্বরী ও ধরলার পানি বেড়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এক দিনের ব্যবধানে দশমিক ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিন দিনে ১ সেন্টিমিটারের বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টেও পানি বেড়েছে। গতকাল সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল ২৮ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকালে পানি প্রবাহিত হয় ২৭ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটারে। এ পয়েন্টে ডেঞ্জার লেভেল ধরা হয় ২৯ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগের দিন শুক্রবার পানি ছিল ২৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৩২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলায় ২২ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটারে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমেছে। এ পয়েন্টে গতকাল সকালে পানি প্রবাহিত হয়েছে ২০ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার। আগের দিন ছিল ২১ সেন্টিমিটার। এদিকে লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে পানি। বন্যার পদধ্বনি দেখা দেওয়ায় তিস্তা চরের মানুষ আতঙ্কিত। চরের কয়েক শ একর জমির পাট, বাদাম, মরিচ, তিল, ধানের বীজততলা তলিয়ে গেছে। কিছু ঘরবাড়িও প্লাবিত হয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। দুই দিন ধরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী জলাবদ্ধ। তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানিতে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

সর্বশেষ খবর