সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

নামেই ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

১০০ শয্যার হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও শুধু নার্স নিয়োগ দেওয়া ছাড়া বাড়ানো হয়নি অন্যান্য জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

নামেই ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

নামেই শুধু মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। কার্যক্ষেত্রে ১০০ শয্যা হাসপাতাল চালানোরই রয়েছে লোকবল সংকট। এই স্বল্পসংখ্যক লোকবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি থাকলেও লোকের অভাবে সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। দুটি সুবিশাল ভবন থাকলেও একটিতে নেই জেনারেটর। জনবল সংকট ছাড়াও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় শুধু  টেকনিশিয়ানের অভাবে সিটিস্ক্যান, এম আর আই, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকার পরও কোনো কাজে আসছে না। বাধ্য হয়ে অধিক টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন অনেকের ক্লিনিকের ব্যবসা রয়েছে। এসব মেশিন নষ্ট রয়েছে বলে দালালরা রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় ক্লিনিকে। ১০০ শয্যার হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও শুধু নার্স নিয়োগ দেওয়া ছাড়া বাড়ানো হয়নি অন্যান্য জনবল।  হাসপাতালে  প্রয়োজনীয় নার্স থাকলেও বেশিরভাগ নার্সের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা। সরকার পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করলেও ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বেশিরভাগ ওষুধ বাহির থেকেই কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়াও দালালের দৌরাত্ম্যে প্রতারিত হচ্ছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগী। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগকৃত দালালরা এই দুর্ভোগকে পুঁজি করে প্রতারিত করছে রোগীদের।  হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ বলেন ১০০ শয্যা হাসপাতালের লোকবলই সংকট রয়েছে তার ওপর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালানো কঠিন। কোটি কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকলেও কোনো কাজে আসছে না শুধু টেকনিশিয়ানের অভাবে। তাছাড়া কিছু ভারী যন্ত্রপাতি ঠিকাদার এখনো হস্তান্তর করেনি। দালাল মুক্ত করতে হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ লাগবে। তিনি আরও বলেন আইসিইউ, গ্যাস, আইসোলেশন ইউনিটের সমস্যা নেই। তবে দুটি বড় ভবন থাকলেও একটিতে নেই জেনারেটর, বিদ্যুতের মাত্র একটি লাইন নষ্ট হলে হাসপাতাল অন্ধকার। আরেকটি বিকল্প লাইন প্রয়োজন। শুধু লোকবলের অভাবে কাক্সিক্ষত সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি চালু হয়নি। এখনো অনেক কাজ বাকি এর মধ্যে মাত্র কয়েকজন ডাক্তার বহিঃবিভাগে রোগী দেখেন। ফলে রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবাসিক চিকিৎসা সেবা শুরু হলে সদর হাসপাতালের চাপ কমে যেত বলে রোগীরা জানান। কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম রায় জানান এ বছর ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করে হস্তান্তরের কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালটি হস্তান্তর করা হয়নি। সময় বাড়ানো হয়েছে। তার পরও  স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বহিঃবিভাগে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

আসা করছি খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর