অব্যাহত পদ্মা নদীর ভাঙনে পানিতে ভেসে যেতে বসেছে ৩৭৬ কোটি টাকার ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর তীর রক্ষার ভাঙন প্রতিরোধে প্রায় ১৫০ মিটার কংক্রিট দ্বারা নির্মিত সিসি ব্লকের অংশ ধসে পড়েছে। এতে হুমকির মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ, গোদার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শত শত ঘরবাড়ি। অপরিকল্পনা এবং অনিয়মের কারণে বাঁধ ধসে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার সিসি ব্লকের অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার এনজিএল ইটভাটার দুই পাশে ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভাঙনকবলিত সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। ভাঙন রক্ষায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা কাজের (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার ও মিজানপুর ইউনয়নের দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে ৪ কিলোমিটার এবং ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) শহর রক্ষা বাঁধের গোদার বাজার অংশে আড়াই কিলোমিটারসহ মোট ৭ কিলোমিটার এলাকায় ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প শুরু হয়। এতে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়। মূলত এই অংশে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লকের এই অংশে এটা তৃতীয়বারের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রথমবার মে মাসে ভাঙন হয় এরপর ১৬ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ভাঙন সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার থেকে বড় ধরনের ভাঙন শুরু হয়। আমরা তখন থেকে বলে আসছিলাম সিসি ব্লকের এই অংশ টিকবে না। তাই হচ্ছে। মিজানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসিনা খাতুন বলেন, ৩৭৬ কোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমরা যখন পদ্মা নদীতে গোসল করতে আসতাম তখন সবাই বলাবলি করতাম। পদ্মার স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েক দিন পর ভাঙনের ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, পদ্মায় যে পরিমাণ ব্লক ফেলানোর কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই পরিমাণ ব্লøক ফেলেনি। যে কারণে সামান্য স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, ২০১৬ সালের দিকে এই প্রকল্পের নকশা তৈরি হয়। সেই নকশার আলোকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
শিরোনাম
- হবিগঞ্জে সংঘর্ষের ছয় দিন পর আহত রিমনের মৃত্যু
- মোদিকে আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- কার্বন ডাই–অক্সাইড ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ফসলে পুষ্টিহানি
- মুকসুদপুরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন
- মহাবিশ্বের গহ্বরে আটকে আছে পৃথিবী? সম্প্রসারণ বাড়ছে দ্রুতগতিতে
- ‘আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান’
- পাকিস্তানের সঙ্গে শিল্প চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়ার
- অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
- সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
- অবশেষে দাদির কোলে ফিরলো হারিয়ে যাওয়া শিশু রোজামনি
- প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন
- সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
- বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন পরিপত্র
- নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
- ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা
- ক্যালগেরির সংগীত সন্ধ্যায় প্রবাসীদের মাতালেন মিনার-মিলা
- মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
- ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত চার সাংসদের নাম ঘোষণা
- জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
- জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
পদ্মায় ভেসে যাচ্ছে ৩৭৬ কোটির প্রকল্প
কাজ শেষ হওয়ার আগেই নদীতে ধসে পড়েছে সিসি ব্লক। রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে
দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর