রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ইলিশে সয়লাব মোকাম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইলিশে সয়লাব মোকাম

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে এখন ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। হাসি ফুটছে জেলেদের মুখে। আড়তদার ও পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের বড় মোকাম মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর। গত দুই দিনে সমুদ্র থেকে যে সংখ্যক ইলিশের ট্রলার ঘাটে এসেছে এতে খুশি নন মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী, ট্রলার মালিকরা। তবে এবার মাছ বিক্রির টাকায় লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলে পরিবারগুলো। মহিপুর মৎস্য বন্দর সূত্র জানায়, গত দুই দিনে বেশ কিছু ইলিশ বোঝাই ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের মহেষখালী এলাকার সাদেক মিয়ার এফবি আল্লাহর দান বড় সাইজের ৮ হাজার পিস ইলিশ বিক্রি করেছে ১৩ লাখ টাকায়। আলীপুর মৎস্য বন্দরের সোবাহান খলিফার মালিকানাধীন ট্রলার বিক্রি করেছে ২০ লাখ টাকা। মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানায়, বর্তমানে প্রতি মণ বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি মণ জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। তবে এখন পর্যাপ্ত কাক্সিক্ষত ইলিশ জালে ধরা পড়েনি। মহিপুর মৎস্য বন্দরের কক্সবাজার ফিসের মালিক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে ফেরা চট্টগ্রাম এলাকার কিছু ট্রলার কাক্সিক্ষত ইলিশ পেয়েছে। স্থানীয় জেলেরা এখনো ইলিশ পায়নি। তবে সমুদ্রে ইলিশের দেখা মিলেছে এটাই খুশির খবর। আলিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দীন মোল্লা বলেন, সমুদ্র থেকে দু-এক দিনে বন্দরে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তবে তাও আশানুরূপ নয়। সমুদ্র থেকে ১০০ ট্রলার ঘাটে ফিরলে কাক্সিক্ষত ইলিশ বিক্রি করেছে ৮-১০টি ট্রলার। অপর ৯০টি ট্রলারের সমুদ্র যাত্রার বাজার খরচ ওঠেনি মাছ বিক্রি করে। এতে সমুদ্রে ইলিশ পড়ছে বলা যায় না বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর