ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদের নয়টিই খালি। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের সাত লক্ষাধিক মানুষ। জানা যায়, রোগীদের সেবার জন্য নাক কান ও গলা বিভাগে লতিফুল আলম খান সায়মন নামে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া গাইনি, এনেসথেসিয়া, সার্জারি, চক্ষু, মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স, চর্ম, শিশু ও কার্ডিওলজি বিভাগসহ নয়টি পদে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তারাকান্দা উপজেলায় আলাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলেও সেটি চালু না হওয়ায় ফুলপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারাকান্দার রোগীরাও। এমনকি পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার রোগীও এখানে আসেন। হাসপাতালটিতে নাক কান গলা বিভাগ ছাড়া আর কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। অনেকে এসে সেবা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।

হালুয়াঘাটের পূর্ব নড়াইল গ্রামের হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ দেখাতে। গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় ফিরে যান তিনি। জানা যায়, এখানে গত জুন থেকে কোনো গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে আমরা গাইনি ও এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রসূতিদের বিনামূল্যে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটার চালু করেছিলাম। গাইনি ও প্রসূতি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় গত জুন মাস থেকে এই সেবা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. জায়েদ মাহবুব খান বলেন, ‘আমরা বার বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি কিন্তু পাচ্ছি না। এখন অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।’